দিনটি ছিলো ২১ জুন ২০১৮! ব্যাগপত্র গুছিয়ে ডাউকি সোনাংপেডাং থেকে এবার রওনা হলাম ক্রাংসুরি ঝর্ণার পথে। আজকে আমাদের মেঘালয়ের শেষ দিন।চলতে চলতে মাঝপথে হাল্কা বৃষ্টি শুরু হলে ছাদ থেকে নেমে পরি। ঘন্টাখানিকের মধ্যে পৌছে যাই ক্রানসুরি ঝরণার কাছে। ঝরনার কাছে পৌছতে মোটামুটি বেশ নিয়ে সিড়ি বেয়ে নামা লাগে। হাটুর জোড় কম থাকলে একটু কষ্টই হবে। নিচে পৌছার আগে একটা ভিউ পয়েন্ট থেকেই সুন্দর ভাবে দেখা যায় পুরো ঝড়নাটা। বড় একটা ঝরণা। পানি প্রবাহও অনেক ছিল।
গেইটের কাছে গিয়ে জানলাম ৩০ রুপি প্রবেশ ফি। ভূলে মানিব্যাগ রেখে এসেছিলাম। পরে গ্রুপের অন্য সবাই আসলে আমাদের নির্ধারিত অর্থমন্ত্রীর টিকেট কাটে সবার জন্য। আমরা সবসময় টুরে একজনের কাছে টাকা জমা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বানিয়ে নেই। এতে অনেক সহজ হয়। সবাই নিচে ঝর্নার কাছে গিয়ে ছবি তুল্লাম। মনে হচ্ছিল এটা ন্যাচারাল সুইমিং পুল। সৃষ্টিকরতার নিজ হাতে তৈরী। গোসল করতে ইচ্ছে হলো। লাইফ জ্যাকেট ছাড়া নামা নিষেধ। আমরা ৩ জন গোসলের সিদ্বান্ত নিলাম।।উপর থেকে ৩০ রুপি করে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে আসলাম। প্রথমে আমরা ৩ জন নামলাম। আমাদের দেখে গ্রুপে বাকী ৬ জন লোভ সামলাতে না পেরে সবাই নেমে গেল। অনেক্ষন পানিতে ঝাপাঝাপি করলাম।
Previous
Next
এবার ফেরার পালা। জিপে করে ডাউকি-তামাবিল বর্ডারের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। দুপুর ১২ টার দিকে বর্ডারে পৌছে ইমিগ্রেশন শেষ করে বাংলাদেশে প্রবেশ করলাম। এইবার কোন স্পীড মানি লাগে নাই। ভীর ছিল না। ৩০ মিনিটেই পার হয়ে গেলাম। পার হয়ে সেই আগের হোটেলে গরু দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। পাশেই মসজিদে জোহরের নামাজ পরে মসজিদেই শুয়ে বিশ্রাম নিলাম কিছুক্ষন। এক গ্রুপ সিলেট শহরে চলে গেল আর আমি সহ ৫ জন জাফলং চলে গেলাম।
জাফলং সন্ধ্যা পর্যন্ত কাটিয়ে লোকাল বাসে করে সিলেট পোছে গেলাম। ৫ ভাই রেস্টুরেন্টে ভর পেট খেয়ে দেয়ে কাউন্টারে চলে গেলাম। যাওয়ার সময় কাটা টিকেটে ১২ টা ১৫ মিনিটে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। খুব ভোর বেলা গন্তব্যস্থলে পৌছে গেলাম। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে এসে দিলাম এক লম্বা ঘুম। এভাবেই শেষ হলো আমাদের মেঘালয় ভ্রমণের গল্প ।