চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ( Sitakund) বিভিন্ন আর্কষণীয় পর্যটন স্থা্নের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে চন্দ্রনাথ পাহাড়, , সবুজ বনাঞ্চল বেষ্ঠিত আঁকা-বাঁকা পাহাড়ী পথ, পাহাড়ী মহামায়া লেকের মনোরম দৃশ্য। সেই সাথে সম্প্রতি পর্যকটকদের লিস্টে নতুন করে যুক্ত হওয়া পর্যটন স্থান হলো বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত (Bashbaria Sea Beach)। ১৫ ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার! পরের দিন ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে গাজীপুর থেকে শ্যামলি পরিবহনে যাত্রা শুরু করলাম। একদম ভোরবেলা আমরা পৌছে গেলাম বাঁশবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড। তখনো সূর্যি মামা জেগে উঠেনি। স্থানীয় পরিচিত একজন ভাই এর সাথে আগেই কথা হয়েছিল। ওনাকে ফোন দিলাম। ওনি আসার আগ পর্যন্ত সবাই বাঁশবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড হাটাহাটি করে সময় পার করলাম। এই ফাঁকে স্থানীয় হোটেলে ছোলা মুড়ি, ডাল পরাটা দিয়ে আমরা হালকা নাস্তা করে নিলাম। (বিঃ দ্রঃ বাঁশবাড়িয়া তেমন ভাল কোন খাবারের রেস্টুরেন্ট নেই। যা পেয়েছি তাতেই আমাদের চলে গেছে।
কিছুক্ষনের মাঝেই স্থানীয় অই ভাইটি চলে আসে এবং আমাদের জন্য সি এন জি ম্যানেজ করে দেয়। সেখান থেকে আমরা দুইটি সি এন জি তে করে বাঁশবাড়িয়া সী বীচের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এখান থেকে জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা (স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত)। ব্যাপার টা ভাল লাগছে। কেউ বেশি ভাড়া নেওয়া সুযোগ নেই। সকাল ৭ টার মধ্যে পৌছে গেলাম বাঁশবাড়িয়া সী বীচে । এই সমুদ্র সৈকতের মুল আকর্ষণ হল, প্রায় আধা কিলোমিটারের বেশি আপনি সুমুদ্রের ভিতর হেটে যেতে পারবেন। সেখানে গিয়ে উঠে গেলাম সেই ব্রীজে। সমুদ্রের উপর করা এই ব্রীজ দিয়ে মূলত সন্দীপ যাওয়া হয়।( স্পীড বোটে)। এই ব্রীজে উঠলে ১০০ টাকা করে নেয়। বিনিময়ে স্পীড বোটে আপনাকে ঘুড়াবে। স্পীড বোটে না উঠলেও ১০০ টাকা দেওয়া লাগে। আমরা খুব সকাল সকাল চলে গিয়েছিলাম বিধায় অই ১০০ টাকা লাগেনি। সম্ভত সকাল ৯ টার পর থেকে আর কাউকে ফ্রি উঠতে দেয়না।
Previous
Next
একটু দূরেই দেখা যাচ্ছিল মনকাড়া ঝাউবন ও বিস্তির্ণ সবুজ উদ্দ্যান। মন সায় দিল দেখানে যেতে। আমাদের গাইড করে সেখানে নিয়ে গেলেন স্থানীয় অই ভাইটি। সেখানে সবুজ ঝাউবন ও বিস্তির্ণ ময়দান দেখে মন ভরে গেল। ঝাউ বাগানের সারি সারি ঝাউ গাছ ও নতুন জেগে উঠা বিশাল বালির মাঠ, সব মিলিয়ে এ এক অপূর্ব সৌন্দর্য। সবাই ছবি টবি উঠিয়ে কিসুক্ষন সময় এখানে কাটিয়ে আমরা সি এন জি করে চলে এলাম বাঁশবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড। এবারের যাত্রা গুলিয়াখালির উদ্দেশ্যে।